১৯৯২ সালের ৩০শে অক্টোবর জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করি। শৈশবের শুরুর দিনগুলো কাটে নানা বাড়ীতে। তারপর আব্বার চাকুরি সূত্রে আসা হয় দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ সার কারখানা যমুনা সার কারখানা কলোনিতে।
জীবনের সবচেয়ে আনন্দমুখর দিনগুলো কাটে এখানে।
যমুনা সার কারখানা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাইমারী শেষ করে ভর্তি হই কলোনির হিফযুল কোরআন মাদ্রাসায়। স্কুলে পড়া অবস্থায় আম্মা মৃত্যুবরণ করেন (আল্লাহ্ তায়ালা তাকে জান্নাতবাসী করুন)।
হিফযুল কোরআন মাদ্রাসা থেকে হিফজ শেষ করে কিতাব বিভাগের পড়া শুরু হয় মাদরাসাতুন নূর ধনবাড়ীতে। ২০১৪-১৫ ইং শিক্ষাবর্ষে দাওরায়ে হাদীস শেষ করি জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া (যাত্রাবাড়ী মাদরাসা) থেকে। মাঝখানে মাদরাসায়ে আমীনীয়া আরাবীয়া (আল-আমীন মাদরাসা) সাভার, ইদ্রীস আলী বিশ্বাস ইসলামিয়া মাদরাসা (আল্লাহরদর্গা মাদরাসা) কুষ্টিয়া, জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়া ও কাশেফুল উলূম মাদরাসা (মধুপুর হাটখোলা) মাদরাসায় পড়াশোনার সৌভাগ্য অর্জন হয়।
দাওরায়ে হাদীস শেষ করার পর জামিয়া মদীনাতুল উলূম, ভাটারা থেকে এক বছর মেয়াদী ইফতা শেষ করে কর্মজীবন শুরু করি।
জীবনের প্রথম কর্মস্থল দারুল উলূম সরিষাবাড়ী। এখানে কিতাব বিভাগে এক বছর শিক্ষকতা করার পর দ্বিতীয় কর্মস্থল হিসেবে যোগদান করি সৈয়দা জাহানারা হাফিজিয়া ও নিজামিয়া মাদানী নেসাব মাদরাসা, মধুপুরে। এখানে কিতাব বিভাগে তিন বছর শিক্ষকতা করি।
তারপর সরিষাবাড়ীর আরামনগরে নিজেদের ভবনে প্রতিষ্ঠা করি মাদরাসাতুল মাদীনাহ সরিষাবাড়ী। মাদানী নেসাবে পড়াশোনা করায় আদীব হুযুর (মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ) সাহেবকে ছাত্রজীবন থেকেই ভালোবাসি। উস্তাদদের জবান থেকে আদীব হুযুরের বিভিন্ন কারগুজারি শুনে নিজ জীবনে ও প্রতিষ্ঠানে তাঁর চিন্তা প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে এই নামে মাদরাসার নামকরণ করা হয়। জানিনা, কবে মনযিলে মাকসাদে পৌঁছাতে পারবো!
আল্লাহ্ তায়ালা আমার সকল আমল কবুল করুন। আমার সকল শিক্ষককে জাযায়ে খায়ের দান করুন। যারা আমার থেকে একটি হরফ হলেও শিখেছে, তাদের সবার জীবনকে আলোকিত করুন। মৃত্যুর পূর্বে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে আরো কিছু কাজ করে যেতে পারি, এই তাওফিক দান করুন। আমীন।
0 মন্তব্যসমূহ