মূল নামঃ মুহাম্মদুল্লাহ
যে নামে পরিচিতঃ মওলানা মুহাম্মদুল্লাহ
হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)
জন্ম সন ও স্থানঃ ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দ, গ্রাম - লুধুয়া, থানা - রায়পুর, জেলা-নোয়াখালী, বাংলাদেশ।
পরলোকগমন তাংঃ ৭ই মে, ১৯৮৭ (৮ই রমজান, ১৪০৭ হিঃ), রোজ - বৃহস্পতিবার
পিতার নামঃ মরহুম মুন্সী ইদ্রীস (রঃ)
দাদার নাম ও পরিচয়ঃ মরহুম মওলানা আকরাম
উদ্দীন মিয়াযী (রঃ); তিনি বালাকোটের শহীদ
হযরত সৈয়দ আহমদ ব্রেলভী (রঃ)এর অন্যতম খলীফা হযরত ইমামুদ্দীন (রঃ) এর পূর্ববঙ্গের প্রতিনিধি
ও খলীফা ছিলেন। স্বাধীণতা আন্দোলনের জন্য যোদ্ধা ও অর্থ সংগ্রহের দ্বায়িত্ব তাঁর উপর
ছিল ।
হাফেজ্জীর পুত্র-কন্যাঃ মোট ১০ সন্তানের
জনক। ৪ ছেলে ৬ মেয়ে।
কন্যারা সবাই গৃহবধু। ২ ছেলে বর্তমানে
জীবিত আছেন। বড় ছেলে ক্বারী আহমদুল্লাহ আশরাফ (বড় ভাই নামে পরিচিত); তিনি বায়তুল মোকাররম মসজিদের মোয়াজ্জীন ছিলেন। হযরত হাফেজ্জী
হুজুর (রঃ)এর ইন্তেকালের পর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর পদে আসীন হন। ২য় ও ৩য় ছেলে
ইন্তেকাল করেছেন। ৪র্থ ছেলে মওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ সাহেব বর্তমানে বাংলাদেশ খেলাফত
আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর এবং কাওরান বাজারের আম্বর শাহ শাহী মসজিদের ইমাম ও খতিব।
স্মারক
২০০১ সনে ঢাকা সিটি করপোরেশন হযরত হাফেজ্জী
হুজুর (রঃ)এর স্মরণে নগরভবন সংলগ্ন (গোলাপশাহ মাজার থেকে চাংখারপুল পর্যন্ত সাবেক ফিনিক্স
রোড) রাস্তাটির নাম করন করেছেন : “মওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রোড”।
২০০৫ সনে “হাফেজ্জী হুজুর রহ. স্মারক গ্রন্থ” শিরনামে ১১০৪ পৃষ্ঠার একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ করেছে হাফেজ্জী
হুজুর (রঃ) পরিষদ।
হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)-এর শিক্ষা জীবন
নিজ গ্রামের অদূরে ফতেপুর প্রাইমারী
স্কুল থেকে উচ্চ প্রাইমারী পাশ করার পর চন্দ্রগঞ্জ মাদ্রাসায় এক বৎসর পড়াশুনা করেন।
অতপর কুমিল্লার লাকসামস্ত নওয়াব ফয়জুন্নেসা চেীধুরানীর মাদ্রাসায় প্রায় এক বৎসর পড়া-শুনা
করেন। তখন তিনি এক পীর সাহেবের বাড়ী জায়গীর থাকতেন। পীর সাহেব তঁকে দৈনিক এক/দেড় ঘন্টা
আপদ-মস্তক কাপড়ে ঢেকে জিকির করাতেন । ফলে ছোট বেলা থেকেই হাফেজ্জী জিকিরে অভ্যস্ত হয়ে
পড়েন। পীর সাহেবের বাড়ীতে পড়া-শুনার ব্যঘাত হওয়ায় তিনি নোয়াখালী জেলার খিলবাইছ মাদ্রাসায়
ভর্তি হন।
এ সময়ে একদিন পায়খানার ময়লার মধ্যে ক্বোরাণ
পাকের আয়াত “বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম” লিখা এক টুকরা কাগজ দেখে তিনি তা তুলে এনে পরিষ্কার করে সযত্নে
রেখে দেন। এই ঘটনার প্রভাবে তাঁর মন গভীরভাবে আল্লাহর দিকে ও ক্বোরাণের দিকে ঝুকতে
শুরু করল।
তিনি ক্বোরাণ হিফজ করার জন্য কাউকে না
বলে মাত্র দেড় টাকা সম্বল নিয়ে ভারতের পানিপথের উদ্দেশ্যে গৃহত্যাগ করেন। বহু অলৌকীক
ঘটনার মধ্য দিয়ে পানিপথে পৌঁছে তিনি ১৯১৩ সনে হযরত ক্বারী আব্দুস সালাম (রহ.)এর অধীনে
হিফজ করতে শুরু করেন। হিফজ শেষ হওয়ার পূর্বেই তাঁর উস্তাদ এবং তিনি উভয়েই মহামারীতে
আক্রান্ত হলেন। তাঁর উস্তাদ হযরত ক্বারী আব্দুস সালাম (রহ.) এন্তকাল করলেন, তবে তিনি ক্রমান্বয়ে সুস্থ্য হয়ে উঠলেন। সুস্থ্য হওয়ার পরে বাকী
হিফজ হযরত ক্বারী আখালাক হুসাইন সাহেব (রঃ) এর অধীনে ১৯১৫ সনে শেষ করেন।
পানিপথ থেকে হিফজ শেষ করে তিনি ১৯১৫
থেকে ১৯২২ সন পর্যন্ত সাহারানপুর মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন এবং সেখান থেকে দাওরা (গ্রাজুয়েশন)
শেষ করেন। পূনরায় ১৯২৩ সনে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ‘ফুনুনাত আলীয়া’ তথা ইসলামী শিক্ষার সর্ব্বচ্চো স্তরের সনদ লাভ করেন।
হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ.)এর খলীফা
হিসাবে এযাযত লাভ
সাহরানপুর ছাত্রাবস্থায় তিনি হাকিমুল
উম্মত হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ.)এর সংস্পর্শে আসেন এবং তাঁর মুরীদ হন। পরে ঢাকায় বড়কাটরা
মাদ্রাসায় অধ্যাপনাকালে তিনি তাঁর জীবনের প্রথম হজ্জ আদায়ের জন্য মক্কা মুয়াজ্জামায়
গমন করেন এবং ফিরার পথে স্বীয় শাইখ হযরত আশরাফ আলী থানভী (রহ.)এর সহিত সাক্ষাতের জন্য
থানাভবন গমন করেন। এই সময় তিনি কয়েকদিন সেখানে অতিবাহিত করেন। স্বদেশের উদ্দেশ্যে রওনা
হওয়ার প্রাক্কালে বিদায় আরজ করতে গেলে হযরত থানভী (রঃ) অত্যন্ত স্নেহার্দ্য কন্ঠে বললেন, “বাড়ী পৌঁছে কুশল সংবাদ জানিয়ে পত্র দেবেন।” সেমতে হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রঃ) বাড়ী পৌঁছেই স্বীয় শাইখকে ছহি
ছালামতে বাড়ী পৌঁছার সংবাদ প্রত্র মারফত জানালেন। তদুত্তরে হাকিমুল উম্মত হযরত আশরাফ
আলী থানভী (রহ.) তাঁহার খলীফা হিসাবে হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)কে নিযুক্ত করিয়া এযাযতনামা
প্রেরন করেন।
হাফেজ্জী হুজুর রহ.-এর কর্মজীবনঃ
পড়াশোনা শেষে তিনি তাঁর সাথী হযরত শামসুল
হক ফরীদপুরী (রঃ) ও হযরত মওলানা আব্দুল ওয়াহ্হাব (পিরজী হুজুর রঃ) সহ দেশের বিভিন্ন
স্থানে দেওবন্দের নিয়মে নতুন নতুন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। তাঁদের প্রচেষ্টায়
ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায়, বাগেরহাটে ও ঢাকার
বড়কাটরায়,
ফরীদাবাদে, লালবাগে বড় বড় মাদ্রাসা
প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৬৫ সনে ঢাকার কামরাঙ্গীচরে হাফেজ্জী হুজুর (রহ.)এর একক উদ্যোগে
প্রায় ১৮ একর জমির উপর নূরীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
তিনি মাদ্রাসায় শিক্ষা প্রদান ও এবাদত
বন্দেগীতে মনোনিবেশ করেন। দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতি থেকে তিনি দুরে অবস্থান করেন।
১৯৮১ সনে তিনি ঐশ্বরীক ইশারায় বাংলাদেশের
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে
অবতীর্ন হন।
নির্বাচনের পরে তিনি ১৯৮১ সনের ২৯শে
নভেম্বর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনা করেন। শাইখুল
হাদীছ মওলানা আযীযুল হক সাহেব, চরমোনাইয়ের পীর মরহুম
মওলানা ফজলুল করীম (রঃ) সাহেব এবং মুফতি ফজলুল হক আমিনী সাহেব ছিলেন হাফেজ্জী হুজুর
(রঃ)এর ছাত্র ও মুরীদ। এই তিনজনকেই হাফেজ্জী হুজুর (রঃ) খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর
নিযুক্ত করেন।
১৯৮২ সনের জানুয়ারী মাসে ইরানের অভিভাবক
পরিষদের সদস্য সচিব আয়াতুল্লাহ আহমদ জান্নাতি সাহেব বাংলাদেশ সফরে আসেন এবং কামরাঙ্গীরচরে
নূরীয়া মাদ্রাসায় হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রঃ) এর সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে ইরান সফরের দাওয়াত
দেন।
১৯৮২ সনের ৩রা সেপ্টেম্বর হাফেজ্জী হুজুর
(রঃ) খেলাফত আন্দোলনের একটি প্রতিনিধি দল সহ ইরান সফরে তেহরান পৌঁছেন। প্রতিনিধি দলে
ছিলেনঃ-
শাইখুল হাদীছ মওলানা আযীযুল হক,
মওলানা হাফেজ হামিদুল্লাহ,
অধ্যাপক আখতার ফারুক।
তেহরান বিমান বন্দরে হযরত হাফেজ্জী হুজুর
(রঃ) কে অভ্যর্থনা জানান ইরানের শুরায়ে নেগাহবানের সদস্য-সচিব আয়াতুল্লাহ জান্নাতি, বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী প্রধান মোহসেন রেজায়ী এবং ইরানী পার্লামেন্টের
কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সদস্য। ৪ঠা সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে হাফেজ্জী (রহঃ) ও তাঁর প্রতিনিধি
দল ইরানের পঙ্গু যুদ্ধাহতদের দেখার জন্য ছারুল্লাহ হাসপাতালে যান, সন্ধায় ইরানের ইসলামিক রিপাবলিকান পার্টির বোমা-বিদ্ধস্ত সদর
দপ্তরস্থল বাহাত্তÍ শহীদের শাহাদতগাহ দেখতে যান, এবং রাত আটটায় ইরানের
শুরায়ে নেগাহবানের (অভিভাবক পরিষদ) সাথে মিলিত হন। ৫ই সেপ্টেম্বর তাঁরা ইরানী পার্লামেন্টের
অধিবেশন দেখেন এবং পার্লামেন্টের স্পিকার হোজ্জতুল ইসলাম আকবর হাশেমী রাফসানজানীর সাথে
আলোচনায় বসেন। ৬ই সেপ্টেম্বর তাঁরা কোমে ইরানের আয়াতুল্লাহ মোন্তাজেরির সাথে ২ ঘন্টা
আলোচনা করেন। এছাড়া তাঁরা আয়াতুল্লাহ গুলপায়গানীর সাথে পৃথক মিটিং করেন, এবং কোমের শিক্ষকমন্ডলী কর্তৃক প্রদত্ত সম্বর্ধনা সভায় যোগ দেন।
এই দিন মাগরীবের নামাজের ওয়াক্ত এলে আয়াতুল্লাহ মোন্তাজেরী হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)কে
নামাজের ইমামতি করার জন্য পীড়পীড়ি করলে হাফেজ্জী হুজুরের নির্দেশে শাইখুল হাদীছ মওলানা
আযীযুল হক সাহেব নামাজে ইমামতি করেন। ৭ই সেপ্টেম্বর বাদ ফজর ইরানের আরেক শীর্ষস্থানীয়
আলেম আয়াতুল্লাহ মারআশীর সাথে সাক্ষাত করেন; এই সাক্ষাতকালে হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রহঃ) ও আয়াতুল্লাহ মারআশী শিয়া-সুন্নী ঐক্যের
প্রতিক হিসাবে হাদীছের সনদ ও এযাযতনামা বিনিময় করেন। তাঁরা আহলে বায়েতের ইমাম হযরত
মুসা কাযেম (রঃ)এর কন্যা হযরত মাছুমা (রঃ)এর মাযার জেয়ারত করেন এবং কোমের বিখ্যাত মাদ্রাসা
ফয়যিয়ায় ছাত্র-শিক্ষক সমাবেশে বক্তৃতা করেন। ঐদিনই তাঁরা দুপুর বারটায় তেহরান ফিরে
আসেন এবং ইসলামী বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী পাসদারানের হেডকোয়ার্টারে পৌঁছে জোহরের নামাজ
আদায় করেন এবং বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর নেতৃবৃন্দ ও উপস্থিত সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময়
করেন। দুপুর তিনটায় তাঁদেরকে তৎকালীন ইরানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলী খামেনেয়ী সাহেবের
বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হল। ইরানের প্রেসিডেন্টের সাথে তাঁদের তিন ঘন্টা ব্যাপী বিস্তারিত
আলোচনা হয় এবং সৈয়দ আলী খামেনেয়ী সাহেবের আচার-ব্যাবহার ও আন্তরিক আলোচনায় হযরত হাফেজ্জেী
হুজুর (রঃ) তাঁর উপর অত্যান্ত খুশী হন। ইতিমধ্যে আসরের নামাজের সময় হলে প্রেসিডেন্ট
সৈয়দ আলী খামেনেয়ী জোর করে হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)কে ইমামতিতে ঠেলে দিলেন। ৮ই সেপ্টেম্বর
বুধবার বেলা ৯টায় হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রঃ) তাঁর প্রতিনিধি দল সহ তেহরানের শহরতলী জামারানে
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের জনক ইমাম আয়াতুল্লাহ সৈয়দ রুহুল্লাহ মুসাভী খোমেনী (রঃ)এর সাথে
আলোচনায় মিলিত হলেন। শিয়া-সুন্নী ঐক্য, ইরান-ইরাক যুদ্ধ, ইসলাম ও মুসলমানদের
অভিন্ন শত্র“ ও তাদের মোকাবিলার উপায় নিয়ে দীর্ঘ এক
ঘন্টা আলোচনা হয়। হযরত হাফেজ্জী হজুর (রঃ) এবং ইমাম খোমেনী (রঃ) উভয়েই আলোচনায় সন্তোষ
প্রকাশ করেন। ৯ই সেপ্টেম্বর তাঁরা বেহেশতী জাহরায় শহীদদের কবর জিয়ারত করেন। ১০ই সেপ্টেম্বর
শুক্রবার তেহরান ইউনিভার্সিটির মাঠে লক্ষ লক্ষ মুসল্লীর সাথে জুমার নামাজ আদায় করেন।
হযরত হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)এর পক্ষ থেকে শাইখুল হাদীস মওলানা আযিযুল হক সাহেব জুমায় খোতবা
প্রদান করেন। ইমামতি করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলী খামেনী সাহেব। ১২ই সেপ্টেম্বর
তাঁরা যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করেন এবং ১৩ই সেপ্টেম্বর তেহরান ত্যাগ করেন।
১৯৮৩ সনের ২৩শে জুলাই হাফেজ্জী হুজুর
(রঃ) কামরাঙ্গীচরে নূরীয়া মাদ্রাসায় রাজনৈতিক দল সমূহের গোলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেন।
তাঁর আহ্বানে উক্ত গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন, সর্বজনাব মরহুম পীর হাবিবুর রহমান (ন্যাপ-মোজাফ্ফর), মঞ্জুরুল আহসান খান (কমুনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ-সি.পি.বি.), নূরে আলম সিদ্দিকী (আওয়ামী লীগ-মিজান), মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু (আওয়ামী লীগ), আব্দুর রাজ্জাক (বাকশাল), দিলীপ বড়–য়া (সাম্যবাদী দল), মরহুম মওলানা আব্দুর
রহীম (ইসলামিক ডেমোক্রাটিক লীগ), মওলানা আব্দুস সোবহান
(সাবেক জামাত এম.পি.), আব্দুল মতীন (কম্যুনিস্ট
পার্টি - মতিন), মরহুম পীর মোহসেন উদ্দীন দুদু মিয়া
(ফরায়জী আন্দোলন), নূর মুহাম্মদ কাজী
(পিপলস লীগ - রাজী), শহীদুল আলম সাঈদ (ডি.এল.-মোয়াজ্জেম), মওলানা খায়রুল ইসলাম যশোরী (আওয়ামী ওলামা পার্টি), ওয়ালিউল ইসলাম (রিপাবলিকান পার্টি), আব্দুর রহীম আযাদ (ইউ.পি.পি.), এডভোকেট হাবিবুল্লাহ চৌধুরী (ইসলামিক রিপাবলিকান পার্টি), আব্দুল মালেক (লেবার পার্টি), প্রমূখ।
ইরানী বিপ্লবে ভীত ষড়যন্ত্রকারীরা ওলামাদের
মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এবং হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)-কে শিয়া পন্থী বলে চিহ্নিত করে। এর
ফলে হাফেজ্জীর আন্দোলন ব্যাহত হয়।
এই পরিস্থিতিতে হযরত হাফেজ্জী হুজুর
(রঃ) ১৯৮৭ সনের রমজান মাসে ইন্তেকাল করেন। হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তাঁর
জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন হাফেজ্জী হুজুর (রঃ)এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্বারী শাহ আহমদুল্লাহ
আশরাফ (বড় ভাই)। উক্ত জানাজা নামাজে মুক্তাদীদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল
এরশাদ,
সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, ডঃ কামাল হোসেন, প্রমূখ।