যে ইলম দ্বারা আরবী লফযের ঐ সকল অবস্থা জানা যায়, যা অনুসরণ করলে কালামمقتضىالحالঅনুযায়ী হয়,
তাকে علم المعاني বলে।
الباب
الأول
في الخبر و الإنشاء
جملةদু’ প্রকার। যথাঃ ১) جبرية২)إنشائية
১)خبرية
বলা হয়, যে জুমলা সত্য ও
মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা রাখে।
২)إنشائية বলা হয়, যে জুমলা সত্য ও মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা
রাখে না।
صدق الخبر
বা কোন خبر
সত্য হওয়ার অর্থ হল, জুমলারمضمون
তথা সার-বিষয় বাস্তব
অবস্থার সাথে সংগতিপূর্ণ হওয়া।
كذب الخبرবা কোন خبر
মিথ্যা হওয়ার অর্থ হল, জুমলারمضمون
তথা সার-বিষয় বাস্তব
অবস্থার সাথে সংগতিপূর্ণ না হওয়া।
معاني
الجملة الإسمية و الفعلية
خبرদু’
প্রকার। যথাঃ ১) الجملة
الإسمية ২)الجملة
الفعلية
الجملة الإسمية মূলগতভাবে
শুধুমাত্র কোন হুকুম সাব্যস্ত হওয়ার অর্থ প্রকাশ করে। বারংবারতা ও অব্যাহততার অর্থ
প্রকাশ করে না। তবে, কখনো কখনো কিছু আলামতের কারণে স্থায়িত্ব ও অব্যাহততার অর্থ
প্রকাশ করে। যেমন, জুমলাটি প্রশংসা, নিন্দা কিংবা হিকমতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলে।
الجملة الإسمية বারংবারতা ও
অব্যাহততার অর্থ প্রকাশ করবে, যখন তার খবর مفرد কিংবা جملة إسميةহবে।
যদি খবরجملة
فعلية হয়, তাহলে
পূণঃপৌনিকতার অর্থ প্রদান করবে।
الجملة الفعلية মূলতঃ তৈরী
হয়েছে, সংক্ষিপ্তাকারে নির্দিষ্টকালে কোন ঘটনার সংঘটন বোঝানোর জন্য।
আর فعلمضارعবারংবারতা
ও অব্যাহততার অর্থ প্রদান করে। যেমনঃ أو كلما وردت عكاظ قبيلة + بعثوا
إلي عريفهم يتوسم
أغراض الخبر
جملة خبرية মূলতঃ দু’টি উদ্দেশ্যে
ব্যবহৃত হয়।
১) মুখাতাব যদি جملة এর حكم
সম্পর্কে অনবহিত থাকে, তাহলে তাকেحكم সম্পর্কে অবহিত করাকে فئدة الخبر বলে।
২) মুখাতাব যদি جملة এর حكم
সম্পর্কেপূর্ব থেকেই অবহিত থাকে, তাহলে তাকেحكم সম্পর্কে অবহিত করাকে لازم فائدة الخبر বলে।
কখনো কখনো খবরকে দু’টি উদ্দেশ্য ছাড়াও বিভিন্ন উদ্দেশ্যে
ব্যবহার করা হয়, যা পূর্বাপর ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে জানা যায়। যেমনঃ
ক) তিরস্কার করা।
খ) আনন্দ প্রকাশ করা।
গ) দুর্বলতা প্রকাশ করা।
ঘ) দুঃখ-দুর্দশা প্রকাশ করা।
ঙ) হাত ছাড়া কোন বিষয়ের ব্যাপারে আফসোস কিংবা আক্ষেপ করা।
চ) দয়া প্রার্থনা করা।
ছ) কোন কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।
জ) নিন্দা করা।
ঝ) গর্ব করা।
ঞ) উপদেশ প্রদান করা।
طرق القاء الخبر
মুখাতাবকে খবর প্রদান করার দ্বারা উদ্দেশ্য
হল, তাকে কোন বিষয় সম্পর্কে অবহিত করা। সুতরাং, মুতাকাল্লিমের জন্য উচিত, তার কথা
যেন প্রয়োজন পরিমান হয়। কম বেশী না হয়। এবং মুখাতাবের প্রতি খেয়াল রাখা।
মুখাতাবের তিন অবস্থা। যথাঃ
১) জুমলার হুকুম সম্পর্কে মুখাতাবের চিন্তা পূর্ব ধারণা
থেকে মুক্ত থাকা। এই অবস্থায় তাকীদমুক্ত খবর প্রদান করতে হবে।
এই প্রকার খবরকেابتدائي বলে। যেমনঃ فاز أخوك في الإمتحان على أنداده
২) জুমলার হুকুম সম্পর্কে
মুখাতাব দ্বিধাগ্রস্ত থাকবে, এবং সঠিক বিষয়টি জানতে উৎসুক হবে। এই অবস্থায়
এমতাবস্থায় সাধারণ তাকীদ-বাক্য যোগে খবর প্রদান করাই হবে উত্তম, যাতে সে
দ্বিধামুক্ত হয়ে সঠিক বিষয়টি জানতে পারে।
এই প্রকারকেطلبي বলে। যেমনঃ إن أخاك فاز في الإمتحان
على أنداده
৩) মুখাতাব জুমলার হুকুমকে
অস্বীকার করবে। এমতাবস্থায় অস্বীকারের মাত্রা অনুযায়ী তাকীদযুক্ত বাক্যযোগে খবর
প্রদান করা জরুরী।
এই প্রকারকে إنكاري
বলে। যেমনঃ إن
أخاك لفائز في الإمتحان على أنداده
খবরকে তাকীদযুক্ত করার
জন্য অনেক অব্যয় রয়েছে। যথাঃ إن،
أن، قسم، لام الإبتداء، نونا التوكيد، أحرف التنبيه، الحروف الزائدة، قد، أما الشرطية
إخراج الكلام عن مقتضى الظاهر
متكلمকখনো
কখনো مخاطب এর
মাঝে এমন কিছু বিশেষ সূক্ষ্ণ অবস্থা দেখতে পান যাতে তিনি বাহ্যিক অবস্থার বিপরীত
কথা বলতে বাধ্য হন।
v কোনحكم সম্পর্কে জ্ঞানী ব্যক্তি তার জানা অনুযায়ী আমল
না করায় তাকে অজ্ঞ ব্যক্তির পর্যায়ে ধরা হয়। যেমন, বেনামাজীকে লক্ষ্য করে কেউ
বললো, يا أخي! الصلاة واجبة
v দ্বিধা ও পূর্ব
ধারণা থেকে মুক্ত মুখাতাবকে দ্বিধাগ্রস্ত মুখাতাবের পর্যায়ে ধরা। যদি পূর্ববর্তী
বাক্যটি মুখাতাবের অন্তরে প্রশ্ন ও কৌতুহল সৃষ্টি করে। যেমনঃ و لا تخاطبني في الذين ظاموا
إنهم مغرقون
v কোন বিষয়ের হুকুম অস্বীকার করে না, এমন ব্যক্তিকে
অস্বিকারকারীর পর্যায়ে ধরা। তার থেকে অস্বীকারের আলামত প্রকাশ পাওয়ার কারণে এমনটি
করা হয়। যেমনঃ جاء
شقيق عارضا رمحه + إن بني عمك فيهم رماح – ثم
إنكم بعد ذلك لميتون
v অস্বীকারকারীকে স্বীকারকারীর পর্যায়ে ধরা হয়। যদি তার
সামনে এমন সুস্পষ্ট ও অকাট্য প্রমাণ থাকে, যাতে চিন্তা করলে অস্বীকার থেকে ফিরে
আসতে পারতো। যেমনঃ মুশরিকদের সম্বোধন করে আল্লাহ্ তা’আলা বলেছেন, و إلهكم إله واحد