الذكر والحذف

কোন বাক্যের স্বাভাবিক দাবি হলো, তার প্রতিটি অংশ উল্লেখ করা হয়। যাতে সে বাক্যের উদ্দিষ্ট অর্থটি বুঝে আসে। আর যদি এমন কোন আলামত থাকে যা থেকে শব্দটি বোঝা যায় তাহলে শব্দটি উল্লেখ বা অনুল্লেখ থাকবে। আর যদি কোন কারণে শব্দকে উল্লেখ বা অনুল্লেখ করা হয় তাহলে বালিগ (بليغ) তাকে প্রাধান্য দিবেন।

কারণগুলো হলো :

১। অধিক সুস্পষ্টতা এবং সুসাব্যস্ত করা। যেমন: 

١. اولئك على هدى من ربهم واولئك هم المفلحون 

٢. العاقل من فكر في العواقب، العاقل من خالف نفسه الامارة بالسوء.

২। ইঙ্গিত দুর্বল হওয়ার কারণে শ্রোতার বুঝ শক্তি কম হওয়া। যেমন: বেশ কিছুক্ষণ পূর্বে খালেদের আলোচনা হয়েছে কিংবা এইমাত্র হয়েছে, কিন্তু তারপরে অন্য কারো প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে। এমতাবস্থায় সময়ের ব্যবধানের কারণে কিংবা অন্যের প্রসঙ্গ আলোচিত হওয়ার কারণে শ্রোতা উদ্দিষ্ট অর্থ হৃদয়ঙ্গম করতে পারবে না। ফলে তুমি نعم الصديق না বলে  বললে, خالد نعم الصديق

৩। শ্রোতার নির্বুদ্ধিতার প্রতি ইঙ্গিত করা। যেমন: ماذا قال عمرو؟ এর উত্তরে শুধু قال كذا না বলে قال عمرو كذا বলা।

৪। শ্রোতার নিকট বিষয়টি সুসাব্যস্ত করা, যাতে তার জন্য অস্বীকার করার সুযোগ না থাকে। যেমন: বিচারক সাক্ষীকে هل أقر زيد بالجريمة জিজ্ঞাসা করার পর সে উত্তরে বললো نعم زيد هذا أقر بالجريمة

৫। বড়ত্ব কিংবা তুচ্ছতা প্রকাশ করা। যেমন: هل رجع القائد؟ এর উত্তরে তুমি বললে, نعم، رجع القائد المنصور কিংবা نعم، رجع القائد المهزوم। প্রথমটি মর্যাদা প্রকাশ করার জন্য আর দ্বিতীয়টি তুচ্ছতা প্রকাশ করার জন্য।

৬। বিস্ময় কিংবা বিমুগ্ধতা প্রকাশ করা। যেমন: আলীর আলোচনা চলা অবস্থায় علي الشجاع উল্লেখ করে বললে, علي الشجاع يقاوم الأسد

৭। বাক্যকে দীর্ঘায়িত করা। যেমন: মূসা আ. وما تلك بيمينك يا موسى এর উত্তরে শুধু هي عصاي না বলে أتوكأ عليها وأهش بها على غنمي বলেছেন।

৮। প্রিয় মানুষের নাম উল্লেখ করার মাধ্যমে তৃপ্তি লাভ করা। যেমন: حبيبي قديم من سفر  

طويل، استقبل حبيبي في المطار

এখানে দ্বিতীয়বার حبيبي বলা।

الحذف واقسامه 

কখনো কখনো অনুল্লেখ (حذف) উল্লেখ (ذكر) করার চেয়ে অধিক বালাগাতসম্মত হয়। 

অনুল্লেখ (حذف) করার কিছু কারণ:

১। চেয়ে মুখাতাব নয় তার থেকে কোন বিষয়কে গোপন রাখা। যেমন: অনেকের মাঝে বসে থাকা মুখাতাবকে উদ্দেশ্য করে বললে, أقبل (أي أقبل علي مثلا)

২। প্রয়োজনের সময় অস্বীকারের সুযোগ থাকে। যেমন: মাজেদের কথা আলোচনা হওয়ার সময় তাকে উদ্দেশ্য করে বললে, لئيم خسيس। তারপর যখন সে তোমাকে চেপে ধরলো যে, আমাকে গালি দিলে কেন, তখন যেন আত্মরক্ষার সুযোগ থাকে।

৩। এদিকে ইঙ্গিত করা যে, অনুল্লেখ বিষয়টি সুনির্দিষ্ট, যেটা বাস্তবে হবে (যেমন: শব্দ অনুল্লেখ করে শুধু বলা) কিংবা দাবীর কারণে। যেমন: তোমার দাবীর কারণে صديق শব্দটি অনুল্লেখ করে বললে, وهاب الألوف

৪। শ্রোতার বোধগম্যতা কিংবা বোধগম্যতার পরিমাণ যাচাই করা। যেমন: القمر শব্দটি অনুল্লেখ করে বললে, نوره مستفاد من نور الشمس

৫। কোন সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা করা। যেমন: শিকারীকে সতর্ক করার জন্য هذا غزال না বলে শুধু غزال বললে।

৬। দুঃখ কষ্টের কারণে দীর্ঘ করার ইচ্ছা না থাকা। যেমন: قال لي كيف انت قلت عليل + سهر 

دائم وحزن طويل

أنا عليل না বলে শুধু عليل বলেছেন।

৭। মহত্ব (যেমন: محمد صلى الله عليه وسلم بشير ونذير وسراج منير না বলে বললে, بشير و نذير وسراج منير) কিংবা তুচ্ছতা (যেমন: ابليس مطرود من الجنه না বলে বললে, مطرود من الجنه) প্রকাশ করা।

৮। কবিতায় ছন্দ মিল রক্ষা করা। যেমন: نحن بما عندنا وانت بما + عندك راض والراي مختلف

৯। সংক্ষেপণ সত্বেও ব্যাপকতা প্রকাশ করা। যেমন: আল্লাহ তায়ালা مفعول به কে حذف করে বলেছেন, و الله يدعو الى دار السلام

১০। আদবের প্রতি লক্ষ্য রাখা। যেমন: قد طلبنا فلم نجد لك في السو + دد والمجد والمكارم مثلا

১১। فعل متعدي কে فعل لازم এর স্থলবর্তী করা। যেমন: قل هل يستوي الذين يعلمون والذين لا يعلمون

১২। শুধুমাত্র বাক্যকে সংক্ষেপ করা। যেমন: ربي أرني انظر إليك أي أرني ذاتك

১৩। বাক্যের অর্থ অন্তরে সুসাব্যস্ত করার জন্য অস্পষ্টতার পর স্পষ্ট করা। যেমন: ولو شاء لهداكم اجمعين

Previous Post Next Post